কারক ও বিভক্তি
প্রশ্নঃ কারক কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী?
কারক শব্দের অর্থ – যা ক্রিয়া সম্পাদনা করে। বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের/নামপদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। কারক ৬ প্রকার। যথা:-
pdf file ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
১) কর্তৃকারক
ক্রিয়ার সঙ্গে কে/কারা যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্তৃকারক। উদাহরণ- খোকা বই পড়ে। {কে পড়ে? খোকা – কর্তৃকারক})
২) কর্মকারক
কী/কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায়। যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্মকারক বলে। কর্ম দুই প্রকার: মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম। যেমন: বাবা আমাকে (গৌণ কর্ম) একটি কলম (মুখ্য কর্ম) কিনে দিয়েছেন।
৩) করণ কারক
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে ”কী দিয়ে/কীসের দ্বারা” বা “কী উপায়ে” প্রশ্ন করলে য়ে উত্তটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক। যেমন: নীরা কলম দিয়ে লেখে। (উপকরণ-কলম)। জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়। (উপায়- সাধনা)
৪) সম্প্রদান কার
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান,অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে। বস্তু নয়- ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক। (কাকে দান করা হলো দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায়।)
৫) অপাদান কারক
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। (কোথায়/কখন/কী বিষয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায়।)
৬) অধিকরণ কারক
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ “এ” “য়” “তে” ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। (কোথায়/কখন/কী বিষয়ে বা সময়/স্থান বোঝালে অধিকরণ কারক হয়।)
প্রশ্নঃ বিভক্তি কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী?
বাক্যের একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শব্দগুলোর সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত করতে হয়। এই শব্দাংশগুলোকে বলা হয় বিভক্তি। বিভক্তি ৭ প্রকারঃ
বিভক্তির নাম ও চেনার উপায়ঃ
প্রথমা/শূন্য বিভক্তি
একবচনঃ ০, অ, রা
বহুবচনঃ গণ
দ্বিতীয়া বিভক্তি
একবচনঃ কে, রে, এরে
বহুবচনঃ দিগকে
তৃতীয়া বিভক্তি
একবচনঃ দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক
বহুবচনঃ দিগের দ্বারা
চতুর্থী বিভক্তি
একবচনঃ *কে, *রে, *এরে, জন্য
বহুবচনঃ দিগেরে
পঞ্চমী বিভক্তি
একবচনঃ হতে, হইতে, থেকে, চেয়ে
বহুবচনঃ দিগের চেয়ে
ষষ্ঠী বিভক্তি
একবচনঃ র, এর
বহুবচনঃ দিগের, দের
সপ্তমী বিভক্তি
একবচনঃ এ, য়, তে
বহুবচনঃ দিগে, দিগেতে
নোটঃ দান, সেবা, ভক্তি অর্থে ”কে/রে” বিভক্তি যুক্ত হলে তা চতুর্থী বিভক্তি হয়। উদাহরণ: ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও> সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি।