Driving License BRTA | ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৫

ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো একটি সরকারি কার্ড যা আপনাকে আইনগতভাবে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়। এটি আপনার পরিচয়, বয়স ও ড্রাইভিং দক্ষতার প্রমাণ। নিরাপদ ও বৈধভাবে গাড়ি চালাতে আজই আপনার লাইসেন্স নিন।


বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে আবেদনকারীর বয়স অপেশাদারের জন্য ১৮বছর এবং পেশাদারের জন্য ২১বছর সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী বা সমমান পাশ থাকতে হবে। আবেদনকারীকে শারীরিক মানসিকভাবে অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে। লার্নার আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি BSP অ্যাকাউন্ট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার NID এবং নিজের NID দিয়ে তোলা একটি সচল সিম কার্ড একটি জি-মেইল লাগবে। এরপর যেকোনো একটি ব্রাউজারে গিয়ে ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করে আপনার একটি BSP অ্যাকাউন্ট খুলবেন। একটি এনআইডি দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং আবেদন এর জন্য কী কী কাগজ লাগবে?

.আবেদনকারীর ছবি (সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি এবং ছবির সাইজ হবে ৩০০*৩০০ পিক্সেল)।
.একজন রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কতৃক সাইন করা মেডিকেল সার্টিফিকেট (ফাইল সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)।
.জাতীয় পরিচয়পত্র বা এর ছবি (ফাইল সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)।
.ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ/গ্যাস) এর ছবি (ফাইল সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)।
.শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এর কপি (কমপক্ষে ৮ম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেট, ফাইল সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)।

আপনি এসব কাগজের স্ক্যান করা ছবি বা মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে সাবমিট করতে পারেন। ছবির সাইজ এবং ফাইলের সাইজ কাস্টমাইজ বা কম বেশি করতে অনলাইন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হল ফাইল কমপ্রেসছবির পিক্সেল এডিট মেডিকেল সার্টিফিকেট এর জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠা বা গ্লু দিয়ে লাগিয়ে উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে সই করে নিবেন (মেডিকেল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন)

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া

আপনার BSP প্রোফাইলে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন অপশন থেকে লার্নার এর জন্য আবেদন করতে এবং ফি পরিশোধ করতে পারবেন। আপনাকে  বিভাগ, জেলা, থানা অবশ্যই পূরণ করতে হবে থানার উপর ভিত্তি করে আবেদনটি সংশ্লিষ্ট বি আর টি সার্কেলে আওতাভুক্ত হবে। আবেদন করে ফি জমা দিলে আপনার লার্নার কার্ড বের হবে।

লার্নার কার্ডে উল্লিখিত পরীক্ষার দিন আপনাকে লার্নার কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট নিয়ে অফিসে উপস্থিত হয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হবে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ২০ নম্বরের মধ্যে। ১২ নম্বর পেলে আপনি পাশ বলে বিবেচিত হবেন। ভাইবা পরীক্ষা হবে রোড সাইনের উপর। রাস্তায় আমরা যেসব সাইনবোর্ড দেখি সেসব এর নাম বলতে হবে ছবি দেখে। ভাইবাতে পাশ করলে সবশেষে হবে ফিল্ড টেষ্ট বা গাড়ি চালানো।

পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার দিন নিচের কাগজগুলো সাথে রাখতে হবে?

  1. লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল কপি)
  3. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (মূল কপি/সত্যায়িত ফটোকপি)
  4.  ইউটিলিটি বিল {বিদ্যুৎ/গ্যাস/টেলিফোন (মূল কপি/সত্যায়িত ফটোকপি)}

পরীক্ষার পরবর্তী দিনের মধ্যে আপনার ফলাফল পাশ/ফেল অনলাইনে এবং মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

পাশ করলে আপনি আপনার বিএসপি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন।

অনেক সময় টাকা/ফি প্রদানের সময় আপনার সিলসহ পাশ করা লার্নার কার্ডের কপি আপলোড করতে হয়। অন্য কোনো কাগজ পূর্বে যোগ করা না থাকলে/ভুল থাকলে এই সময় আপনি যোগ করতে পারবেন। পেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অবশ্যয় ডোপ টেস্টের রিপোর্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে লাইসেন্সের জন্য অনুমোদন পেয়ে যাবেন। অনুমোদন পেলে আপনি আপনার -ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন যা আপনার সাথে রাখবেন এবং এটা দিয়েই আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন যতদিন স্মার্ট কার্ড না পান।

স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং হলে আপনার দেওয়া ঠিকানায় কার্ড ডাকযোগে পেয়ে যাবেন।
(সকল ধাপগুলো আপনি আপনার BSP অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।)

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে?

) লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন (পেশাদার/অপেশাদার)

শুধু মোটরসাইকেল বা কার/লাইট ১টি মোটরযানের জন্য আবেদন ফি বাবদ ৫১৮/= টাকা প্রদান করতে হবে। আবার ২টি মোটরযান যেমন মোটরসাইকেল+কার/লাইট এর জন্য আবেদন ফি বাবদ ৭৪৮/= টাকা প্রদান করতে হবে। (আবেদন ফি যদি বিকাশ/নগদ/রকেট এর মাধ্যমে প্রদান করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বারতি টাকা খরচ করতে হবে। লার্নার এর মেয়াদ ৬মাস)

.) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ২৩০/= টাকা ফি প্রদান করে নতুন লার্নার নিতে হবে।
.) লার্নার লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে নবায়ন করতে হলে ২৮৮/= টাকা ফি দিতে হবে।

) স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ফি

অপেশাদার: পরীক্ষায় পাশ করার দিনই বা পরের দিন ফোনে মেসেজ আসবে। এরপর আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে গিয়ে ফি প্রদান করতে পারবেন। সবমিলে আপনাকে ৪৫৫৭/= টাকা দিতে হবে। এই লাইসেন্স এর মেয়াদ থাকবে ১০বছর। ফি পরিশোধ করার প্রায় ১সপ্তাহের মধ্যে আপনি -ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন, এই লাইসেন্স দ্বারা আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন এছাড়া গাড়ির কাগজপত্র জমা করতে পারবেন।

পেশাদার: সব নিয়ম একই। এই ক্ষেত্রে আপনাকে ২০৩২/= টাকা ফি দিতে হবে। লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ৫বছর।

) ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি

অপেশদারের জন্য ৪২১২/= টাকা, আবার মেয়াদ পাবেন ১০ বছর। পেশাদারদের জন্য ২৪৮৭/= টাকা, মেয়াদ বছর।
ফি এর বিস্তারিত অন্য সকল ফি এর তথ্য জানতে পিডিএফ ডাউনলোড করুন



 

Driving Lincense Questions

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url